JUBO DARPAN DIGITAL, করিমগঞ্জ ৭ জানুয়ারি :: বিজেপি সরকার রাজ্যে ক্ষমতা আসার পর শিক্ষা ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে অনেক বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে জাতীয় শিক্ষা নীতি রাজ্যে চালু হওয়ার পর বিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে। সরকারের দেওয়া প্রকল্প গুলো বাস্তব রূপ কি হচ্ছে তা যাচাই করতেই আয়োজিত হচ্ছে গুণোৎসব। এবার রাজ্যে পঞ্চম বারের মতো শুরু হয়েছে গুণোৎসব। বুধবার থেকে রাজ্যে প্রথম পর্যায়ের গুণোৎসব শুরু হয়েছে। আর প্রথম পর্যায়ের গুণোৎসবে রয়েছে করিমগঞ্জ জেলা। শুক্রবার তৃতীয় দিনে সেল্ফ ইভাল্যুয়েশনের মাধ্যমে দক্ষিণ করিমগঞ্জের বারইগ্রাম জফরগড় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শুরু হয়েছে গুণোৎসব। এদিন সকালে প্রশ্নপত্র খোলার সময় হাজির ছিলেন এক্সটার্নাল ইভাল্যুয়েট ড,সুজিত তেওয়ারি, কণিকা চক্রবর্তী, অধ্যক্ষ নজমুল ইসলাম ও উপাধ্যক্ষ রামানুজ দাস ।
যান চালক ও মালিক সংগঠনের আহ্বানে ২৪ ঘণ্টার বনধের কোন প্রভাব পড়ে নি । শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপস্থিতির সঙ্গে দূরদূরান্ত থেকে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয় ছিলো। অনেক ছাত্র ছাত্রী পায়ে হেঁটে নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে সক্ষম হয়। ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি ও উৎসাহ উদ্দীপনা দেখে প্রশংসা করেন এক্সটার্নাল ইভাল্যুয়েট ড,সুজিত তেওয়ারি ও কণিকা চক্রবর্তী । এক্সটার্নাল ইভাল্যুয়েটরা স্কুলের সার্বিক পরিকাঠামোর সঙ্গে খাওয়া দাওয়া সহ অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এলুমেনি কমিটির কাজের প্রশংসা করেন।এদিন গুণ উৎসব উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন স্কুল পরিচালনা সমিতির সভাপতি বিক্রমজিৎ দত্ত,
এ্যলুমেনি কমিটির সভাপতি কামাল উদ্দিন, কনভেনর অরূপ রায়,তাছাড়া প্রবাল দাস, প্রীতম ধর, অজিত দাস,প্রমুখ । এদিকে চারদিনের গুণোৎসব শেষ হবে ছয় জানুয়ারি । জেলায় মোট ১৮২৫ টি স্কুলে এবার গুণোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে । এক্সটারন্যাল ইভালুয়েটর হিসেবে করিমগঞ্জে গুণোৎসবে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন করতে গুয়াহাটি থেকে আসবেন রাজ্য সরকারের বনবিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং নগর উন্নয়ন সহ অন্যান্য বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকরা।
গুণোৎসবের প্রথম দিনে বুধবার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক -শিক্ষিকারাই। এটাই হল সেলফ ইভালুয়েশন। চার জানুয়ারি থেকে ছয় জানুয়ারি পর্যন্ত এক্সটারন্যাল ইভালুয়েটরের উপস্থিতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে । সর্বমোট ১৮২৫ টি স্কুলের গুণোৎসব সম্পন্ন হবে তিনদিনে। চার জানুয়ারি ৬২৮টি, পাঁচ জানুয়ারি ৬২৩ টি এবং ছয় জানুয়ারি ৫৭৪ টি স্কুলে গুণোৎসবে ছাত্রছাত্রীদের একাডেমিক মূল্যায়ন করা হবে। বদরপুর শিক্ষাখন্ডের অধীনে ১৮০ টি ,পাথারকান্দি শিক্ষাখন্ডের অধীনে ৫৩৩ টি স্কুলে,রামকৃষ্ণনগর শিক্ষাখন্ডের অধীনে ৫৫৪ টি ,শহর শিক্ষাখন্ডের অধীনে ৩৭ টি ,দক্ষিণ করিমগঞ্জ শিক্ষাখন্ডের অধীনে ৩২৫ টি স্কুলে এবং উত্তর করিমগঞ্জ শিক্ষাখন্ডের অধীনে ১৯৬ টি স্কুলে গুণোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালের গুণোৎসবে সীমান্ত জেলায় মোট ৭৭৪ জন এক্সটারন্যাল ইভালুয়েটর ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা গ্রহণ করবেন । খবর অনুষ্ঠানে এক্সটার্নাল ইভালুয়েটরের দায়িত্ব পালন করবেন কাছাড় থেকে ৩০০ এবং হাইলাকান্দি থেকে ২১০ এবং করিমগঞ্জের ২৬৪ জন বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিক,কলেজের অধ্যাপক সহ এসিএস ও এপিএস আধিকারিকরা। জেলায় এজন্য বিভিন্ন আধিকারিকদের সহযোগিতা করতে বিভিন্ন বিভাগের ১৭৩ জনকে লিয়াসন অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এক্সটারন্যাল ইভালুয়েটর হিসেবে ভিভিআইপির তালিকায় রয়েছেন চারজন শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিক।বদরপুর শিক্ষাখন্ডে বিদ্যুৎ বিভাগের শীর্ষ আধিকারিক গৌতম তালুকদার (আইএএস), পাথারকান্দি শিক্ষাখন্ডে বনবিভাগের আধিকারিক পসুপুলেতি মণিকা কিশোর (আইএফএস),দক্ষিণ করিমগঞ্জ শিক্ষাখন্ডে নগর উন্নয়ন বিভাগের আধিকারিক নয়নজ্যোতি ভাগবতী(এসিএস)
এবং রাতাবাড়ি শিক্ষাখন্ডে নির্মলকান্তি দেবনাথ (এসিএস)ওএমআর শিটে পরীক্ষা গ্রহণ করবেন। এছাড়াও জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব,পুলিশ সুপার পার্থপ্রতীম দাস,শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত জেলাশাসক ধ্রুবজ্যোতি পাঠক, ডিআই ইকবাল হোসেন বড়ভুঁইয়া, স্কুল ইন্সপেক্টর অনুপ কুমার দাস সহ বিভাগীয় অন্যান্য আধিকারিকরা পর্যবেক্ষক হিসেবে গুণোৎসব পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সমগ্র শিক্ষার ডিপিও (টিটি) ড.বিকাশ ভট্টাচার্য।