বেবি চক্রবর্ত্তী, কলকাতা :
“হৃদয়ের অরূপ আলোকে
বিমল প্রভাতে অমৃত জীবন
অগ্নিময় চেতনা আর্দশ জাতীয়তার নব সূর্য।”
বাংলা সাহিত্যের মধ্যে লুকিয়ে আছে প্রাচীন ইতিহাস। সাহিত্য হল ইতিহাসের প্রারম্ভ দলিল। বাংলা সাহিত্যের কবি বা সাহিত্যক শুধু কল্পনাবিলাসী নন। বাস্তব জগতের সঙ্গে সাধারণ জনগণের সহিত তাঁর সুখ -দুঃখের পরিচয় আছে । দেশের স্বাধীনতা -স্পৃহার – সমাজ চেতনা এবং আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর প্রাণের যোগ আছে।
সম্প্রতি কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল হলে অনুষ্ঠিত হয় বাঙালি ও বাঙলিয়ানা সাহিত্য পত্রিকার সাহিত্য অনুষ্ঠান। প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরষ্কার প্রাপ্ত গায়ক রণজিৎ ভট্টাচার্যএবং বাংলা কথা সাহিত্যিক দীলিপ রায়।
এখানে উপস্থিত বিশিষ্ট কবি – সাহিত্যিক এবং বাচিক শিল্পীদের কবিতা পাঠ- আবৃত্তি এবং গানের মাধ্যমে এই দিনের অনুষ্ঠান আলোকিত হয়। বাঙালি ও বাঙলিয়ানা সাহিত্য পত্রিকা উন্মোচনের পাশাপাশি অভিনব উদ্যোগ চোখে পরে তা হল প্রান্তিক অঞ্চলের সাহিত্যিক এবং নতুন লেখকদের তুলে ধরা। এছাড়া একে – অপরকে বই কিনে উপহার দেওয়া,এই ডিজিটালাইজেশানের যুগে বই এর পাঠক সংখ্যা বাড়ানো ইত্যাদি।
নব প্রজন্মের কাছে আধুনিকতা মনষ্ক ইংরেজি শব্দের ভিড়ে এখন প্রায় বাংলা ভাষা বিলুপ্তির পথে। এই জন্য বাংলা সাহিত্যে নব প্রজন্মের পাঠক সংখ্যা বাড়ানো এবং মাতৃভাষাকে আরও প্রগাঢ় করাও ছিল অনুষ্ঠানের মুল লক্ষ্য। এই ধরনের উদ্যোগকে উপস্থিত দর্শক মহলের একাংশ সাধুবাদ জানায়।
এদিনের সুন্দর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক সুব্রত গোস্বামী, সভাপতি সমীর মুখার্জী, অ্যাডমিন মিতা সিনহা ,ভাস্কর লাহিড়ী, দেবাশীষ ঘোষ ও শবনম বাসু। রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার প্রাপ্ত শিক্ষক সাধন কুমার হালদার, সাহিত্যক -সমাজসেবী মানব মুখোপাধ্যায় , বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী সুপ্রিয়া বিশ্বাস – প্রতিবাদী বাচিক শিল্পী সুদেষ্ণা মন্ডল,
বেবি চক্রবর্ত্তী,উত্তরবঙ্গের লেখিকা-গায়িকা- শিক্ষিকা পারমিতা অধিকারী, উজান বসু ,বিদিশা বসু, শঙ্খ শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, সুনিত, অমিতাভ মিত্র, অজিত কুমার দে, দিলীপ চক্রবর্তী , অমল দাস, নির্মাল্য মুখোপাধ্যায় পাপিয়া বসু আরও অনেকে।